শুধু আল্লাহ আছেন বললেই মুসলিম

শুধু আল্লাহ আছেন বললেই মুসলিম হওয়া যায় না, কারণ যদি আল্লাহ কালেমা আছেন এ কথা বললেই মুসলিম হওয়া যায় তাহলে এ কথা মক্কার কাফেররাও স্বীকার করতো।


“অামাদের ইসলাম” একটি ধর্মীয় ব্লগ। অাপনি ইসলামের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে এখান থেকে জানতে পারেন।

যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, কে তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, নামাজ তবে অবশ্যই তারা বলবে, আলøাহ্, অত:পর তারা কোথায় ফিরে যাচেছ ? 
“আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি রোজা করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, এগুলো সৃষ্টি করেছেন পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আলøাহ্
যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করে, অত:পর তা দ্বারা মৃত্তিকাকে উহার মৃত হওয়ার পর সঞ্জীবিত করে? তবে তারা অবশ্যই বলবে, আলøাহ্। বলুন, সম¯Í প্রশংসা  হজ্ব আলøাহ্রই। কিন্তূ তাদের অধিকাংশই তা বোঝে না।
যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছে, চন্তদ্র ও সূর্যকে কর্মে নিয়োজিত করেছে? তবে তারা অবশ্যই বলবে আলøাহ্। তাহলে তারা কোথায় ঘুরে বেড়াচেছ? 
তুমি জিজ্ঞেস কর, কে রুযী দান করে তোমাদেরকে আসমান থেকে যাকাত ও যমীন থেকে, কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তাছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্ম স¤পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আলøাহ্! তখন তুমি বলো তারপরেও ভয় করছ না?
বলুন পৃথিবী এবং পৃথিবীতে যারা আছে, তারা কার? যদি তোমরা জান। এখন ইসলাম  তারা বলবে: সবই আলøাহ্র। বলুন, তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না? 
বলুনঃ তোমাদের জানা থাকলে বল, কার হাতে সব ব¯Íূর কর্র্তৃত্ব, যিনি রক্ষা মুসলিম  করেন এবং যার কবল থেকে কেউ রক্ষা করতে পারে না ? এখন তারা বলবেঃ আলøাহ্র।
হযরত আব্দুলøাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ মুশরিকরা বায়তুলøাহ শরীফ তাওয়াফ করার সময় তালবীয়া পাঠ করতো (لبيك اللهم….  ) যখন তারা لبيك لا شريك لك পর্যন্ত বলতো, তখন (সাঃ) বলতেন অাতিক: ব্যস্, ব্যস্, থামো! থামো! কেননা তারা শেষ দিয়ে বলতো “তবে একজন শরীক আছে যে নিজে এবং তার অধীনস্থ সবকিছু তোমারই অধীন আছে।
আল্লাহর নবীর বয়স যখন ৩৫ বৎসর তখন ক্বাবা পুনর্ণিমাণের প্রয়োজন হয়, তখন মক্কার কাফেররা পরামর্শে বসল যে, তখন তারা সিদ্ধান্ত নিলো যে, ক্বাবা নির্মাণ করতে গিয়ে তারা কোন হারাম পয়সা লাগাবে না। সবার হালাল করিম   পয়সা জমা করে দেখা গেল, এর দ্বারা পূর্ণ ক্বাবা নির্মাণ করা সম্ভব নয়, যদি পূর্ণ ক্বাবা নির্মাণ করতে চাই তাহলে হারাম পয়সা ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু তারা তা করলো না বরং হালাল পয়সা দিয়ে যতটুকু সম্ভব হয়েছে ততটুকুই করেছে আর বাকীটা বাদ রহিম  দিয়ে দিয়েছে, হাতিমে ক্বাবা যার সাÿ্য বহন করে। এর দ্বারা বুঝা যায় তারা আল্লাহকে  বরকত কত ভয় করে।
Oldest