পালনকর্তার সর্বাধিক কাছে তখন থাকে

ইবনে খুজায়মা ও ইবনে হাব্বান এক হাদিসে আরো বর্ণনা করেন, 'নারী তার পালনকর্তার সর্বাধিক কাছে তখন থাকে, যখন সে তার ঘরের ভেতরে য়ার বৈধতা নেই।অবস্থান করে। ' এ হাদিসেও সাক্ষ্য আছে, ঘরে অবস্থান করা ও বাইরে না যাওয়াই নারীদের আসল কাজ। (প্রয়োজনের ক্ষেত্রে অবশ্য এর ব্যতিক্রম)। অন্য এক হাদিসে প্রিয় নবীজি (সা.) বলেন, 'নিরুপায় হওয়া ছাড়াত ফিরিয়ে  নারীদের বাইরে যাওয়ার বৈধতা নেই। '

হজরত জারির ইবনে আবদুল্লাহ আমি রাসুলুল্লাহ(রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 'আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, হঠাৎ যদি কোনো মহিলার ওপর দৃষ্টি পড়ে, তাহলে কী করতে হবে?' রাসুলুল্লাহ্ (সা.) আমাকে নির্দেশ দিলেন, 'তুমি তোমার দৃষ্টিকে দ্রুত ফিরিয়ে বস্থান নেবে। ' (সহিহ্ মুসলিম)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, দৃষ্টিপাত শয়তানের একটি বিষাক্ত শর। যে মনের চাহিদা সত্ত্বেও দৃষ্টিসুলুল্লাহ ( ফিরিয়ে নেয়, আমি তার পরিবর্তে তাকে এমন সুদৃঢ় ইমান দান করব, যার মিষ্টতা সে অন্তরে অনুভব করবে। (তাবরানি)
হজরত জরির ইবনে আবদুল্লাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত, একদিন তি রাসুলুল্লাহ (সা.) ফরমান, 'ইচ্ছা ছাড়াই হঠাৎ কোনো বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টি পড়লে সেদিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নাও। '
হজরত উম্মে সালমাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, একদিন তিনি এবং হজরত মাইমুনা (রা.) উভয়েই রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে বসা ছিলেন। হঠাৎ অন্ধ সাহাবি আরা.)-কে বললেবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.) এসে প্রবেশ করলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) হজরত উম্মে সালমা ও মাইমুনা (রা.)-কে বললেন, তোমরা (আগন্তুক) লোকটি থেকে পর্দা করো। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! লোকটি তো অন্ধ, আমাদের দেখতে পাচ্ছেন না। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরাও কি অন্ধ? তোমরা সৃষ্টি করে দেবেকি তাঁকে দেখতে পাবে না? (আবু দাউদ)
বিশ্বনবী (সা.) বলেন, কোনো মুসলমানের দৃষ্টি পড়বে পড়ে। কেননা নবী ( কোনো স্ত্রী লোকের সৌন্দর্যের ওপর, এরপর সে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেবে, আল্লাহ তার ইবাদতের স্বাদ ও আনন্দ সৃষ্টি করে দেবেন। (মুসনাদে আহমদ)
মেয়েরা পথ চলতে জোরে পা ফেলবে না। যাতে তাদের পায়ের বা অলংকারের শব্দ কোনো পুরুষের কানে না যায়। এ বিষয়ে আল্লাহপাক বলেন, 'আর তারা যেন সজোরে পদচারণ না করে, যাতে তাদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়ে পড়ে। (সুরা নূর : ৩১)
গোপন সৌন্দর্য প্রকাশে সুগন্ধি ব্যবহারও পড়ে। কেননা নবী (সা.) বলেন, 'যদি কোনো নারী খোশবু ব্যবহার করে কোনো পুরুষের কাছ দিয়ে যায়, যেন  পড়ে। কেননা নবী (তারা তার সুগন্ধি পায়, সে এরূপ- অর্থাৎ ব্যভিচারিণী। ' (তিরমিজি)
সাহাবি হজরত উকবা ইবনে আমের (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সাবধান! তোমরা নির্জনে নারীদের কাছে যেও না। জনৈক  পড়ে। কেননা নবীনুপস্থিতিতে কোনো ম (ল্লাহর রাসুল! দেবর সম্পর্কে আপনার নির্দেশ কী? নবী (সা.) বললেন, 'দেবর তো রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেমৃত্যুর সমতুল্য। ' (বোখারি, ও মুসলিম)
নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোনো মহিলার কাছে যেও না। কারণ শয়তান মানুষের শরীরে রক্তের ন্যায় চলাচল করে। (তিরমিজি)রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছে
হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'খবরদার! কোনো পুরুষ যেন স্বামীহীন কোনো নারীর সঙ্গে কখনো এযাপন না করে। (মুসলিম)রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছে
হজরত হাসান বসরি (রহ.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে 'সতর' দেখবে এবং যে দেখাবে উভয়ের ওপর আল্লাহর লানত অবতীর্ণ হোকি)
প্রিয় নবীজি (সা.) আরো বলেছেন, 'মেয়েরা যখন বালিগা হয়, তখন তাদের শরীরের কোনো অংশ দেখা বা দেখানো জায়েজ নয়খন তাদের শরী। অনেক কাপকারিণী (পাতলা কাপড়ের কারণে) কিয়ামতের দিন উলঙ্গ সাব্যস্ত হবে। ' (মুসলিম)
Previous
Next Post »